পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে খুঁজে ফিরছেন স্বামী

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সালথায় পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন লাভলী আক্তার ওরফে সুমাইয়া (২৪) নামে এক নারী। তাকে ফিরে পেতে আদালতে মামলা করেছেন স্বামী মো. সুজন সিকদার (৩০)।

ফরিদপুর জজ কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতে লাভলী আক্তার সুমাইয়া ও আলামিন শেখকে (৩১) আসামি করে মামলা করেছেন সুজন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাশার।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সালথা উপজেলার গট্টী ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামের মান্নান মোল্লার মেয়ে লাভলী আক্তার সুমাইয়া। মো. সুজন সিকদারের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মো. নয়ন সিকদারের ছেলে। ২০১৫ সালে মো. সুজন সিকদার ও লাভলী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুজন সিকদার স্ত্রী লাভলীকে নিয়ে শ্বশুড়বাড়ি সালথা উপজেলার ভাবুকদিয়া গ্রামে বসবাস করতেন। মাঝে কয়েক বছর সুজন সিকদার কাজের জন্য কাতারে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং ফরিদপুর শহরে একটি রড কোম্পানিতে কাজ নেন।

মো. সুজন সিকদার বলেন, ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরের শোলাকুন্ডু গ্রামের মো. আলামিন শেখ আত্মীয়তার সুবাদে আমার শ্বশুরবাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। আলামিন শেখ বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের বাবা। আমি দেশের বাইরে থাকার সুবাদে আমার স্ত্রী লাভলী আক্তারের সঙ্গে আলামিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৬ মে সকালে আমি কাজে বের হলে আলামিন আমার স্ত্রী লাভলীকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় আমার স্ত্রী ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ ৩ লাখ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণের গহনা সঙ্গে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে লাভলী আক্তার সুমাইয়ার বাবা মান্নান মোল্লা বলেন, আমি চাই আমার মেয়ে আগের স্বামী সুজনের সঙ্গে থাকুক। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। আলামিনের পরিবারকে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না।

এ বিষয়ে জানতে আলামিন শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে আলামিন শেখের বড় ভাই দুলাল শেখ জাগো নিউজকে বলেন, আলামিন বিবাহিত। পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাকে আমরা বিয়ে দেই। তাদের ৩ বছর বয়সী একটি মেয়েও আছে। আলামিনের প্রথম স্ত্রী নারী নির্যাতন ও যৌতুকের জন্য আদালতে একটি মামলা করেছেন। যে মামলা আদালতে এখনও চলমান। এরই মধ্যে সে আরেকজনের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। আমাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তাকে আমরাও খুঁজে পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী ও মামলার কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম স্টালিন বলেন, লাভলী আক্তার সুমাইয়া অন্যের সঙ্গে পালিয়ে গেলেও আইনগতভাবে সে এখনও সুজনের স্ত্রী। আলামিনও বিবাহিত। এছাড়াও আলামিন শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু আদালতে আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আলামিন শেখ ও সুমাইয়া আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
error: ধন্যবাদ!